Advertisement
�“রাত দুইটার স্মৃতি”�রাতের নিস্তব্ধতা আর নির্জনতা যেনো প্রিয় মানুষটার স্মৃতিগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। রাত দুইটা—যখন চারপাশ ঘুমিয়ে থাকে, তখনই মনটা সবচেয়ে বেশি জেগে ওঠে। স্মৃতিরা এসে ধরা দেয়, একেকটা দৃশ্য যেনো সিনেমার মতো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তার হাসি, কথা, হেঁটে যাওয়ার ভঙ্গি—সব কিছুই যেনো মনে নারা দিয়ে যায়।
এই সময়টায় মন বলে ওঠে:
> "সে কি এখনো জেগে আছে?
তারও কি আমাকেই মনে পড়ে?"
এমন অনুভূতি কখনো শান্ত করে, আবার কখনো অস্থির করে তোলে। স্মৃতিগুলো হয়তো ফিরে আসবে না বাস্তবে, কিন্তু তারা আমাদের হৃদয়ের গভীরে জায়গা করে নেয় চিরদিনের মতো।
����������������
নিশ্চয়ই, নিচে এক গভীর বিরহে ভরা প্রেমকাহিনী লিখে দিচ্ছি—যেখানে রাতের নীরবতা, অতীতের স্মৃতি, আর হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গভীরতা ফুটে উঠেছে।
---
নাম: “রাত দুইটার স্মৃতি”
রাত দুইটা বাজে।
ঘরের বাতিটা নিভে গেছে অনেক আগেই, কিন্তু হৃদয়ের কোণে জ্বলছে একটুকরো আলো—সেই আলোটা তার স্মৃতিতে, তার ভালোবাসায়।
রায়হান জানালার পাশে বসে। আকাশটা আজ অনেক বেশি নীরব। শহরের সব কোলাহল থেমে গেছে, কিন্তু তার ভেতরের আওয়াজ থামে না।
এমন রাতেই ফিরে আসে অনন্যা। না, শরীর নিয়ে নয়—স্মৃতি হয়ে, অনুভূতি হয়ে, দুঃখের দীর্ঘশ্বাস হয়ে।
তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল এক গ্রীষ্মের বিকেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। অনন্যার চোখে ছিলো আকাশের মতো প্রশান্তি, আর রায়হানের মুখে ছিল অচেনা এক হাসি—যেটা শুধু অনন্যার জন্যই ফুটে উঠতো।
ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম।
সব ছিলো যেনো নিখুঁত এক গল্প—চায়ের কাপে ভাগাভাগি, ক্লাস শেষে হাত ধরে হাঁটা, আর বিকেলের রোদে দাঁড়িয়ে "ভালোবাসি" বলা।
কিন্তু সময় শুধু সুন্দর মুহূর্ত বুনে না, সে মাঝে মাঝে ছিঁড়েও ফেলে সবটুকু।
অনন্যার পরিবার একদিন জানিয়ে দিলো—তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিদেশে, এক আত্মীয়ের ছেলে।
অনন্যা কেঁদেছিল, রায়হান চুপ করে ছিলো।
তারা কেউ কারও বিরুদ্ধে ছিলো না—তারা ছিলো ভাগ্যের বিরুদ্ধে, সমাজের নিয়মের বিরুদ্ধে।
শেষ দেখা হয়েছিলো এক বসন্তের দুপুরে।
অনন্যা বলেছিলো,
> "তুই তো জানিস, আমি তোরই ছিলাম, তোরই আছি... কিন্তু বাস্তবতা কাউকে ছাড়ে না।"
সেই দিনের পর থেকে রায়হান আর কাউকে ভালোবাসেনি। অনন্যা তার জীবনে ছিলো না, কিন্তু প্রতিটি রাত দুইটায় সে ফিরে আসতো।
হাতের ফোনটা মাঝে মাঝে তুলে নেয় সে, হোয়াটসঅ্যাপে অনন্যার নাম খোঁজে—তবুও কিছু লিখে না। হয়তো অনন্যার ঘুম ভাঙবে, হয়তো সে কষ্ট পাবে।
তাই রায়হান শুধু স্মৃতি আঁকে। কল্পনায় কথা বলে। তার ভালোবাসা আজও থেমে যায়নি, শুধু রূপ নিয়েছে—নীরব ভালোবাসায়।
---
শেষ পঙক্তি:
রায়হান জানে,
> “সব প্রেম মিলনে পূর্ণ হয় না।
কিছু প্রেম শুধু রাত দুইটায়, চোখের কোনে, আর নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকে।”
---�����.........End By Md Saddam Hossain Suruz
Advertisement
Event Venue & Nearby Stays
Rangpur, Rangpur Division, Bangladesh, Khulna, Bangladesh