Advertisement
ঘুরে বেড়ানোর সময় যারা প্রকৃতিকে অনেক কাছ থেকে উপলব্ধি করতে চান তাদের জন্য বহু প্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা হলো ক্যাম্পিং। এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রকৃতির বন্যতাকে সুক্ষ্মভাবে পরখ করার আমেজ দেয়। সেখানে ভয় ও উত্তেজনাকে ছাপিয়ে সরবে আবির্ভূত হয় রাতভর আড্ডা গান আর পূর্ণিমা বা আলো অন্ধকারের ঝিঝি পোকার ডাক। ব্যস্ততার বেড়াজাল থেকে রেহাই দিয়ে ঠিক এমনি অভিজ্ঞতা দিতে পারে ক্যাম্পিং ট্যুর। ক্যাম্পিংয়ের সরঞ্জাম সঙ্গে করে বেড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি বদ্বীপ। গতানুগতিক ভ্রমণ থেকে ক্যাম্পিং একটু আলাদা, এখানে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও সাথে রাখতে হয় ক্যাম্পের কিছু সরঞ্জাম, রান্না করার লোকজন এবং সব থেকে জরুরী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা । তবে সেসব দায়ীত্ব আমাদের, আপনাকে শুধু তাবু নিয়ে যেতে হবে। নিজের জন্যে কিনে নেয়ার বা ভাড়াতেও পেয়ে যাবেন তাবু।
বঙ্গোপসাগরের বুকে ছবির মত সুন্দর এক দ্বীপচর। নির্জন সাদা বালীর বীচ, ঝিনুকে ছাওয়া লাল কাঁকড়ার সৈকত, সাগর লতার ফুল ফোটা ঝাড়, ম্যানগ্রোভ জোয়ারের সময় নির্জনতা ভাঙ্গা সাগরের গর্জন, রাতের পরিষ্কার আকাশে লক্ষ তারার মেলা, রাতের আকাশে উল্কাপাত, সবুজ বনের ভেতরে হেটে ঘুরার পথ। লম্বা লম্বা ঝাও গাছের সারি ঐশ্বরিক এক জায়গা।
কেবল এই একটি নেটওয়ার্ক এর বাইরের ট্যুর বছরের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয় আমার।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল শত শত নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা পলি মাটি জমে তৈরি হয়েছে। আবারও যেতে চাই দেশের সর্বদক্ষিণের অচেনা নতুন কোনো বদ্বীপে, বাচ্চা বুড়ো নারী পুরুষ শকলেই তাবুতে কাটাতে চাই দুটি রাত...
ঢাকা থেকে রওনাঃ ১৯ ডিসেম্বর বৃহঃবার সন্ধ্যা ৬ টার লঞ্চ
(সদরঘাটের রাস্তাঘাটগুলো ভীষণ ভীর থাকে তাই দুপুরের পরপরই রওনা দিবেন প্লিজ)
থাকবোঃ ২০ ও ২১ ডিসেম্বর রাত
ফেরাঃ ২২ ডিসেম্বর
ঢাকায় পৌছানোঃ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে
ভ্রমণের টাইপঃ ক্যাম্পিং
গ্রুপ সাইজঃ ১৯ জন
এটি ট্রাভেলার্স হুইসেল গ্রুপের একটি নিজস্ব ক্যাম্পিং ইভেন্ট। আমাদের অন্যান্য ইভেন্ট সম্পর্কে জানতে বা আমাদের সম্পর্কে জানতে আমাদের পেজ ও গ্রুপে এড হয়ে থাকতে পারেন।
আমাদের গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/768808669858355
আমাদের পেজঃ https://www.facebook.com/Sajib072
ইভেন্টটি শেয়ার করে আপনার ফেসবুক বন্ধুদের ক্যম্পিং এ অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন এবং পাশাপাশি INVITE করে বন্ধুদের বা নির্দিষ্ট কাওকে জানাতে পারবেন।
ভ্রমন খরচঃ
জনপ্রতিঃ ৬৫০০/- টাকা
জনপ্রতি ৭৭০০/- (ক্যাবিন সহ)
জনপ্রতি ৩৫০০/- টাকা ৫-৯ বছর পর্যন্ত
নিবন্ধন করার নিয়মাবলীঃ
================
যেতে আগ্রহী অবশ্যই ৩০৬০/- জমা দিয়ে আপনার আসন নিশ্চিত করবেন।
পার্সোনাল বিকাশঃ
01711978072
(দয়াকরে বিকাশে টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই উপোরোক্ত বিকাশ নাম্বারে আপনার নামঃ ঠিকানাঃ কন্টাক্ট নাম্বার সহ একটা এসএমএস করবেন। এবং বুকিং মানি ভ্রমণের ২৪ ঘন্টার কম হলে অফেরতযোগ্য)
(১ম দিন) – সকাল ০৬টায় চরফ্যাশন বাজারে পৌঁছে সকালের নাস্তা শেষে ০৩দিনের জন্য বাজার করে ০৯টার মধ্যে কচ্ছপিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা। সেখান থেকে ট্রলারে নির্ধারিত ক্যম্প সাইটে চর তুফানিয়া বা শিপচর যাবো। রাতভর আড্ডা ও গান। ক্যাম্প ফায়ার, ফানুস, ইকো লাইটিং ইত্যাদি।
(২য় দিন) – যদি সেটা ভালো লাগে তাহলে সেখানে ২য় রাত থাকবো অথবা আরেকটি দ্বীপে ক্যাম্প করবো। চাইলে ২য় দিন নিজেরা একটা রান্না করবো।
(৩য় দিন) - সকালে উঠে নাস্তা করে ক্যাম্প সাইট গুছিয়ে আশেপাশে পরিষ্কার করে ফেরার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করব বিকেল ০৩ টায় ঢাকাগামী লঞ্চ ধরবো।
(৪র্থ দিন) সোমবার সকাল ০৭ টায় সদরঘাট পৌঁছে যার যার গন্তব্যে যাবো।
এক্টিভিটিসঃ
হুইল ছিপে মাছ ধরা
জাল দিয়ে মাছ ধরা
ফুটবল খেলা
চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
মন খুলে আড্ডা গান আর খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ট্রলারে সমুদ্র উপকূলে বেড়ানো
লাল কাঁকড়ার দ্বীপটি ঘুরে দেখা
তাবুতে থাকা
গাছপালা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
হ্যামকে দোল খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ক্যাম্প প্রদীপ জ্বালানো
সামুদ্রিক মাছ খাওয়া
ঘুড়ি ওরানো
ফানুস ওড়ানো
যা থাকবেঃ
১৯ তারিখ রাত থেকে ২২ তারিখ রাত পর্যন্ত সকল বেলার খাবার।
( কোনো খাবার কিনে খাওয়া লাগবে না)
ঢাকা থেকে চরফ্যাশন/ঘোষের হাট এবং ঘোষের হাট থেকে ঢাকা লঞ্চের ডেকে যাতায়াত সহ সকল প্রকার যাতায়াত।
৩ দিনের জন্যে রিজার্ভ ট্রলার ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেল পানি (তাই বলে হাত ধোয়ার কাজে কেও ব্যাবহার করলে ৫০০ টাকা জরিমানা। যেখানে যাচ্ছি সেখানে পানি কিনে তো দূর কোনো রকম খাওয়ার পানি পাবো না। )
বাবুর্চি ও একজন হেল্পার
লোকাল ট্রান্সপোর্ট সিএনজি/ অটো/ লেগুনা
স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট
জেলেদের নৌকা থেকে মাছ কিনে খাওয়ার ব্যাবস্থা হবে।
বিঃদ্রঃ
আমরা যে অঞ্চলে যাচ্ছি সেখানকার জীবনযাত্রা জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভরশীল, তাই উল্লেখিত সময়সূচী যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
আমরা যেহেতু লোকালয় ছেড়ে অনেক দুরে থাকব তাই প্রথম দিনের বাজার দিয়েই সবকিছু ম্যানেজ করতে হতে পারে। আমরা চেষ্টা করব লোকাল জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনতে।
এই আয়োজনে সবাই ব্যস্ত থাকবে স্ব স্ব দাইত্বে তাই কেও নৌকা নিয়ে কোথাও যাবার জন্যে বা গরু, মহিষ বা ভেড়া কেনার বায়না ধরবেন না। মানে আপনি নিজে কিনেই সব করে ফেলবেন সেটাও করা নিষেধ।
এই ভ্রমণে তাবু থাকা জরুরী। না থাকলে জানাবেন কিনে দেয়া যাবে।
যা যা সাথে নিতে হবেঃ
i. তাঁবু*** এবং তাবুর ভেতরে বিছানোর ম্যাট
ii. স্লিপিং ব্যাগ
iii. চাদর***
iv. ব্রাশ পেস্ট
v. নিজ নিজ পানির বোতল
vi. টয়লেট ট্যিসু (মিনিমাম ১টি)
vii. গামছা ***
viii. ক্যাপ বা হ্যাট ***
ix. সানগ্লাস ***
x. টর্চ ***
xi. ক্যমেরা এবং এর এক্সট্রা ব্যাটারি
xii. পাওয়ার ব্যাংক***
xiii. ব্যক্তিগত ঔষধ
xiv. বাতাস বালিস**
xv. পরিমাণ মতো গরম কাপড়
xvi. অডোমস***
xvii. এন আই ডি / স্টূডেন্ট আইডি(ফটোকপি)
xviii. ৩ গজ পলিথিন (পাশে ৪-৫ ফুট) যেকোণো হার্ডোয়ারের দোকানে পাওয়া যায়। না পেলে জানাবেন।***
xiv. ফ্লাক্স
** গুরুত্বপূর্ণ -
# সব থেকে জরূরী, ট্রিপ ডিটেইলস টা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন প্লিজ।
# প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এক্সিডেন্টাল কোনো ইস্যুতে খরচ বেড়ে গেলে সেই বর্ধিত খরচ আমরা সবাই মিলেই বহন করবো। কারন প্রাকৃতিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না এবং এর উপর আমাদের কারো কোনো হাত নেই।
# প্ল্যানের মধ্যে নতুন কোনো প্ল্যানের আবদার না করার বিশেষ অনুরোধ।
# অপ্রয়োজনীয় সাহস দেখানো যাবেন না।
# লঞ্চে যাওয়া আসার রাত এবং পথে ঘাটে উঠানামা ছাড়া খরচ করার কোনো জায়গা নেই। শুকনো খাবার, জুস্ম চকোলেট যা কিছু প্রয়োজন আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবশ্যই ঢাকা থেকে নিয়ে রওনা দিবেন। কেনাকাটা করার মতো জায়গা পাবোনা বললেই চলে।
# ক্যাম্পিং এ তাবু পিচ করতে পরষ্পরকে, রান্নার কাটাকুটি, ক্যাম্প গ্রাউন্ডে নিজের পানি নিজেই বহন সহ প্রয়োজনীয় কাজে যথাসম্ভব হেল্প করার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।
# কারও তাবু লাগলে জানাবেন ভাড়া বা কিনে করে দেয়া যাবে।
# নিশ্চিত যারা যাবো তাদের একটি গ্রুপ চ্যাটবক্স করে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
যেকোনো প্রয়োজনেঃ
সজীব - ০১৭১১৯৭৮০৭২
Advertisement
Event Venue & Nearby Stays
কলাগাছিয়া,গলাচিপা,পটুয়াখালী, Patuakhali, Barisal, Bangladesh