Advertisement
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সহযোগিতায় ৬ষ্ঠ বারের মতো রাধাগোবিন্দ চন্দ্র স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের শিরোনাম-মহাকাশ জরিপ: বিগ ডেটার জ্যোতির্বিজ্ঞানএই বক্তৃতায় আলোচনা করা হবে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় মহাকাশ জরিপের থেকে পাওয়া তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হয় সেই বিষয়ে। বিশেষ করে বর্তমানে চলমান ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং নাসার মিলিত প্রকল্প ইউক্লিড এবং শীঘ্রই শুরু হতে যাওয়া ভেরা রুবিন অবজারভেটরির লিগ্যাসি সার্ভে অফ স্পেস অ্যান্ড টাইম (এলএসএসটি) প্রকল্পের লক্ষ্য, ক্ষেত্র, এবং সেখান থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণে ডেটা কীভাবে কাজে লাগানো যাবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
মহাবিশ্বের গঠন এবং এর বিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য ইউক্লিড মিশন ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে মহাবিশ্বের দ্রুত সম্প্রসারণের কারণ খুঁজে বের করবে।
অন্যদিকে, রুবিন অবজারভেটরির এলএসএসটি প্রকল্প প্রতিদিন আকাশের বিশাল এলাকাজুড়ে গ্যালাক্সি, সুপারনোভা, এবং চলমান মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে মহাবিশ্বের গতিশীল বিবর্তনের উপর দীর্ঘমেয়াদী ডেটাসেট সরবরাহ করবে। এই দুই মিশনের বিশাল পরিমাণ ডেটা আমাদের মহাবিশ্বের গঠন, বিবর্তন এবং তার রহস্য সম্পর্কে নতুন তথ্য এবং জ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করবে।
-------------------------------------------------------
এবারের বক্তৃতায় বক্তব্য রাখবেন-
ড. সৈয়দা লামমীম আহাদ
পোস্টডক্টরাল ফেলো
ওয়াটারলু সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু, কানাডা
রুসলান ব্রিলেনকোভ
পিএইচডি গবেষক
ক্যাপ্টেইন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইন্সটিটিউট
ইউনিভার্সিটি অব খ্রোনিঙ্গেন, নেদারল্যান্ডস
-------------------------------------------------------
জ্যোতির্বিদ রাধাগোবিন্দ চন্দ্র- যার স্মরণে এই আয়োজন
সারাজীবন খ্যাতির আড়ালে থেকেই সফলভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন জ্যোতির্ময় জ্যোতির্বিদ রাধাগোবিন্দ চন্দ্র। ১৮৭৮ সালে অবিভক্ত বাংলায় জন্মগ্রহণ করা এই জ্যোতির্বিদ যশোরের বাগাচর গ্রাম থেকে নিজের ছোট টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন সুবিশাল আকাশ আর শনাক্ত করেছেন অগণিত নক্ষত্র আর ধুমকেতু। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে অক্ষয়কুমার দত্তের লেখা 'ব্রহ্মান্ড কি প্রকান্ড?' প্রবন্ধ পড়ে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চায় আগ্রহী হয়ে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই খালি চোখে আকাশ পর্যবেক্ষণে সিদ্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯১০ সালে বাইনোক্যুলার দিয়ে হ্যালির ধুমকেতু পর্যবেক্ষণের পর ১৯১২ সালে নিজের বেতন ও খানিকটা জমি বিক্রির টাকা দিয়ে ৩ ইঞ্চি একটি কার্ডবোর্ডের রিফ্র্যাক্টর টেলিস্কোপ কিনে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চায় মনোনিবেশ করেন। ১৯১৮ সালে আকাশে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্র দেখতে পান যেটা তাঁর মানচিত্রে ছিল না। এটি পরে হার্ভার্ড মানমন্দিরে জানালেন যেখানে সেটি নোভা অ্যাকুইলা-৩ হিসেবে আবিষ্কৃত হয়। ১৯১৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৭২১৫ টি পরিবর্তনশীল শেফালী বিষম তারা (Cepheid Variables) পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের আভসো (AAVSO)-তে প্রেরণ করেন। তাঁর এসব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জ্যোতির্বিদ্যায় বিশ্বের নামকরা সব প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন জীবদ্দশায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ নিয়ে লিখেছেন "ধুমকেতু" নামক গ্রন্থ। এছাড়াও তাঁর বেশকিছু অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি রয়েছে। ১৯৭৫ সালে ৯২ বছর বয়সে এই মহান জ্যোতির্বিদ পরলোকগমন করেন।
-------------------------------------------------------
আয়োজনটি সকল বয়সীদের জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় নিবন্ধন করে অংশ নিতে হবে।
নিবন্ধন লিংক- https://forms.gle/23aHB5uNbBXLUx6v9
প্রয়োজনে যোগাযোগ- +880 1730-716522
ঠিকানা- ১২ তলা, গ্রিন সিটি সেন্টার, ৭৫৮, সাত মসজিদ রোড (আবাহনী মাঠের বিপরীত পাশে), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫
Advertisement
Event Venue & Nearby Stays
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র-Bishwo Shahitto Kendro, মুন ড্রাই ক্লিনার্স, ঢাকা, বাংলাদেশ,Dhaka, Bangladesh
Tickets