Advertisement
বদ্বীপ ক্যাম্পিং অজানা অধ্যায় ১২ ফেব্রুয়ারী যাত্রা, ১৩/১৪ থাকা, ১৫ ফেরা, ১৬ ঢাকা।
আমার কাছে সব জায়গারই একটা নিজস্বতা আছে। সব মানে স...ব জায়গার। যেমন লালমনিরহাট রেলস্টেশন আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা স্টেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং অদ্বিতীয়। লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারি যাওয়ার লোকাল ট্রেনে উঠলে ভিন্ন এক বাংলাদেশ দেখতে পাবেন।
বান্দরবানের এক বাঙালি গাইড বলেছিলেন "এতো কষ্ট করে টাকা খরচ করে বন পাহাড়ে কেনো হাটতে আসি!" তাদের প্রিয় জায়গা ঢাকা।
আমার অবশ্য সব জায়গাই পছন্দের জায়গা। থাকা ও যাতায়াত দুর্গম হওয়াতে অনেক অসাধারণ জায়গা মানুষের পছন্দের তালিকাতে নেই।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল শত শত নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা পলি মাটি জমে তৈরি হয়েছে। একারনেই দেশের নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলোর আকৃতির পরিবর্তন হয় প্রতিবছরই। একদিকে যেমন মাইলের পর মাইল ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় অন্যদিকে তেমনি নতুন নতুন চর জেগে ওঠে পলি জমে। নদী যেখানে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশে ওই অঞ্চলগুলোতে ভাঙ্গা-গড়ার এই খেলা আরও প্রকট। এবার শুধু মাছ খেতে আবারও যেতে চাই ভোলা জেলার সর্বদক্ষিণের অচেনা কোন চরে, কাটাতে চাই দুটি রাত তাবুতে...
ভ্রমণের টাইপঃ ক্যাম্পিং
গ্রুপ সাইজঃ ২০ জন
এটি ট্রাভেলার্স হুইসেল গ্রুপের একটি নিজস্ব ক্যাম্পিং বাজেটফ্রেন্ডলি ইভেন্ট। আমাদের অন্যান্য ইভেন্ট সম্পর্কে জানতে বা আমাদের সম্পর্কে জানতে আমাদের পেজ ও গ্রুপে এড হয়ে থাকতে পারেন।
আমাদের গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/768808669858355
আমাদের গ্রুপের অন্যান্য ইভেন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ফেসবুকে গ্রুপে এড হয়ে থাকতে পারেন।
আমাদের পেজঃ https://www.facebook.com/Sajib072
ইভেন্টটি শেয়ার করে আপনার ফেসবুক বন্ধুদের ক্যম্পিং এ অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন এবং পাশাপাশি INVITE করে নির্দিষ্ট কাওকে জানাতে পারবেন।
ভ্রমন খরচঃ
জনপ্রতিঃ ৩৭০০/- ( বয়স ৪-৮ বছর )
জনপ্রতিঃ ৬৭০০/- ( প্রাপ্তবয়ষ্ক )
জনপ্রতিঃ ৭৯০০/- (ক্যাবিন সহ)
নিবন্ধন করার নিয়মাবলীঃ
================
যেতে আগ্রহী অবশ্যই ৩০০০/- জমা দিয়ে আপনার আসন নিশ্চিত করবেন।
ব্যাংকঃ
অ্যাকাউন্টের নাম- মোঃ সাইফুর রহমান সজীব
অ্যাকাউন্ট নম্বর 116 151 0020195
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
গুলশান ব্রাঞ্চ।
পার্সোনাল বিকাশঃ
01711978072
দয়াকরে বিকাশে টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই উপোরোক্ত বিকাশ নাম্বারে আপনার নামঃ ঠিকানাঃ কন্টাক্ট নাম্বার সহ একটা এস এম এস করবেন। এবং বুকিং মানি অফেরতযোগ্য
ভ্রমন বিস্তারিতঃ
যাত্রা - ফেব্রুয়ারী ১২ তারিখ ২০২৫।
সন্ধ্যা ০৬ টায় সদরঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রা শুরু।
(বৃহস্পতিবার খুব ভীর থাকে সদরঘাটের রাস্তাঘাটগুলো, তাই দুপুরের পরপরই রওনা দিবেন প্লিজ)
(১ম দিন) – সকালে লঞ্চ ঘাটে পৌঁছে সকালের নাস্তা শেষে ০৩ দিনের জন্য বাজার করে ১১টার মধ্যে নির্ধারিত দ্বীপে রওনা। সেখান থেকে ট্রলারে ক্যম্প সাইটে যাবো। রাতভর আড্ডা ও গান। ক্যাম্প ফায়ার, ফানুস,ইকো লাইটিং ইত্যাদি।
(২য় দিন) – যদি সেটা ভালো লাগে তাহলে সেখানে ২য় রাত থাকবো অথবা আরেকটি দ্বীপে ক্যাম্প করবো। চাইলে ২য় দিন নিজেরা একটা রান্না করবো ।
(৩য় দিন) - সকালে উঠে নাস্তা করে ক্যাম্প সাইট গুছিয়ে আশেপাশে পরিষ্কার করে ফেরার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করব বিকেলে ঢাকাগামী লঞ্চে ধরবো।
(৪র্থ দিন) সোমবার সকাল ০৭/০৮ টায় সদরঘাট পৌঁছে যার যার গন্তব্যে যাবো।
এক্টিভিটিসঃ
হুইল ছিপে মাছ ধরা
জাল দিয়ে মাছ ধরা
ফুটবল খেলা
চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
মন খুলে আড্ডা গান আর খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ট্রলারে সমুদ্র উপকূলে বেড়ানো
দ্বীপটি ঘুরে দেখা
তাবুতে থাকা
চরাঞ্চলের গাছপালা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
হ্যামকে দোল খাওয়া
জলকেলি
ক্যাম্প প্রদীপ জ্বালানো
সামুদ্রিক মাছ খাওয়া
হাঁস বা মুরগী, মাছ না পাওয়া সাপেক্ষে
ক্যাবিনে খাবারের সাথে পানি
ক্যাম্প সাইটে চা বিস্কিটের ব্যাবস্থা সহ বিকেলের নাস্তা
যা থাকবেঃ
১২ তারিখ রাত থেকে ১৫ তারিখ রাত পর্যন্ত সকল বেলার খাবার। (কনো খাবার কিনে খাওয়া লাগবে না)
ঢাকা থেকে চরফ্যাশন/ঘোষের হাট/ ভোলা থেকে ঢাকা লঞ্চের ডেকে যাতায়াত সহ সকল প্রকার যাতায়াত।
৩ দিনের জন্যে রিজার্ভ ট্রলার ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেল পানি (তাই বলে হাত ধোয়ার কাজে কেও ব্যাবহার করলে ৫০০ টাকা জরিমানা। যেখানে যাচ্ছি সেখানে পানি কিনে তো দূর কোনো রকম খাওয়ার পানি পাবো না। )
বাবুর্চি
যা থাকবে নাঃ
তাবু ও আনুসাঙ্গিক জিনিস
ব্যাক্তিগত ঔষধ
লঞ্চে যাতায়াতের সময় ক্যাবিনে গরম পানি/চা/কফি
বিঃদ্রঃ
আমরা যে অঞ্চলে যাচ্ছি সেখানকার জীবনযাত্রা জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভরশীল, তাই উল্লেখিত সময়সূচী যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
আমরা যেহেতু লোকালয় ছেড়ে অনেক দুরে থাকব তাই প্রথম দিনের বাজার দিয়েই সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করব লোকাল জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনতে। অনেক সময় জেলেদের কাছে মাছ পাওয়া যায় না। অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ।
যেহেতু চরে ক্যাম্পিং করব সেহেতেু দৈনন্দিন প্রাকৃতিক কর্মকান্ড প্রকৃতির মাঝেই সম্পাদন করতে হবে। তবে আমরা টেম্পোরারি টয়লেট বানাবো।
এই আয়োজনে সবাই ব্যস্ত থাকবে স্ব স্ব দাইত্বে তাই কেও নৌকা নিয়ে কোথাও যাবার জন্যে বা গরু, মহিষ বা ভেড়া কেনার বায়না ধরবেন না। মানে আপনি নিজে কিনেই সব করে ফেলবেন সেটাও করা নিষেধ।
এই ভ্রমণে তাবু থাকা জরুরী তবে কেও কিনতে না চাইলে ভাড়া করে নিতে পারেন। যারা সেটাও চান না আগে থেকে যোগাযোগ করবেন বড় একটা গ্রুপ তাবু নেয়ার পরিকল্পনা আছে এবার।
যা যা সাথে নিতে হবেঃ
i. তাঁবু*** এবং তাবুর ভেতরে বিছানোর ম্যাট
ii. স্লিপিং ব্যাগ
iii. চাদর***
iv. ব্রাশ পেস্ট
v. নিজ নিজ পানির বোতল
vi. টয়লেট ট্যিসু (মিনিমাম ১টি)
vii. গামছা ***
viii. ক্যাপ বা হ্যাট ***
ix. সানগ্লাস ***
x. টর্চ ***
xi. ক্যমেরা এবং এর এক্সট্রা ব্যাটারি
xii. পাওয়ার ব্যাংক***
xiii. ব্যক্তিগত ঔষধ
xiv. বাতাস বালিস**
xv. পরিমাণ মতো গরম কাপড়
xvi. অডোমস***
xvii. এন আই ডি / স্টূডেন্ট আইডি(ফটোকপি)
xviii. ৩ গজ পলিথিন (পাশে ৪-৫ ফুট) যেকোণো হার্ডোয়ারের দোকানে পাওয়া যায়। না পেলে জানাবেন।***
এক্টিভিটিসঃ
হুইল ছিপে মাছ ধরা
জাল দিয়ে মাছ ধরা
ফুটবল খেলা
চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
মন খুলে আড্ডা গান আর খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ট্রলারে সমুদ্র উপকূলে বেড়ানো
লাল কাঁকড়ার দ্বীপটি ঘুরে দেখা
তাবুতে থাকা
গাছপালা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
হ্যামকে দোল খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ক্যাম্প প্রদীপ জ্বালানো
সামুদ্রিক মাছ / হাঁস বা মুরগী খাওয়া
** গুরুত্বপূর্ণ -
# সব থেকে জরূরী, ট্রিপ ডিটেইলস টা মনোযোগ দিয়ে পড়া।
# প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এক্সিডেন্টাল কোনো ইস্যুতে খরচ বেড়ে গেলে সেই বর্ধিত খরচ আমরা সবাই মিলেই বহন করবো। কারন প্রাকৃতিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না।
# প্ল্যানের মধ্যে নতুন কোনো প্ল্যানের আবদার না করার বিশেষ অনুরোধ।
# অপ্রয়োজনীয় সাহস দেখানো যাবেন না।
# কারও তাবু লাগলে জানাবেন কিনে বা ভাড়া করে দেয়া যাবে।
# লঞ্চে যাওয়া আসার রাত এবং ঘাটে উঠানামা ছাড়া খরচ করার কোনো জায়গা নেই। আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবশ্যই ঢাকা থেকে নিয়ে রওনা দিবেন। কেনাকাটা করার মতো জায়গা পাবোনা বললেই চলে।
# ক্যাম্পিং এ তাবু পিচ করতে পরষ্পরকে, রান্নার কাটাকুটি, ক্যাম্প গ্রাউন্ডে নিজের পানি নিজেই বহন সহ প্রয়োজনীয় কাজে যথাসম্ভব হেল্প করার মানসিকতা থাকা খুব প্রয়োজন।
# কারও তাবু লাগলে জানাবেন ভাড়া বা কিনে করে দেয়া যাবে।
# নিশ্চিত যারা যাবো তাদের একটি গ্রুপ চ্যাটবক্স করে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
যেকোনো প্রয়োজনেঃ
সজীব - ০১৭১১৯৭৮০৭২
দেশের দক্ষিনাঞ্চলের লোকালয় বিহীন চরে গত ১১ বছরে যে কয়বার গিয়েছি, আমাদের সফর সঙ্গী ও আমার তোলা সবগুলো ছবি দেখে আমার মনে হয়েছে, জায়গাগুলো এতটা সৌন্দর্যমন্ডিত অথচ তার ছিটেফোঁটা আমাদের ছবিগুলোতে নেই। সত্যি বলতে দ্বীপচরের সৌন্দর্য নিজ চোখে উপভোগ করা গেলেও ছবি দেখে তা উপলব্ধি করা মুশকিল।
বঙ্গোপসাগরের বুকে ছবির মত সুন্দর এক দ্বীপচর। নির্জন সাদা বালীর বীচ, ঝিনুকে ছাওয়া লাল কাঁকড়ার সৈকত, সাগর লতার ফুল ফোটা ঝাড়, ম্যানগ্রোভ জোয়ারের সময় নির্জনতা ভাঙ্গা সাগরের গর্জন, রাতের পরিষ্কার আকাশে লক্ষ তারার মেলা, রাতের আকাশে উল্কাপাত, সবুজ বনের ভেতরে হেটে ঘুরার পথ। লম্বা লম্বা ঝাও গাছের সারি ঐশ্বরিক এক জায়গা।
সত্যিকারের নেটওয়ার্ক এর বাইরে বাংলাদেশের যে কয়েকটি যায়গা বাকি রয়েছে এই ঢালচর, মাঝের চর, শেষের চর, সোনার চর, চর পাতিলা, শিপচর, কলাগাছিয়া, তারুয়ার চর এইসব অন্যতম। কেবল এই একটি ট্যুর বছরের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয় আমার।
বদ্বীপ ক্যাম্পিং অজানা অধ্যায়
১২ ফেব্রুয়ারী যাত্রা, ১৩/১৪ থাকা, ১৫ ফেরা, ১৬ ঢাকা।
আমার কাছে সব জায়গারই একটা নিজস্বতা আছে। সব মানে স...ব জায়গার। যেমন লালমনিরহাট রেলস্টেশন আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা স্টেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং অদ্বিতীয়। লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারি যাওয়ার লোকাল ট্রেনে উঠলে ভিন্ন এক বাংলাদেশ দেখতে পাবেন।
বান্দরবানের এক বাঙালি গাইড বলেছিলেন "এতো কষ্ট করে টাকা খরচ করে বন পাহাড়ে কেনো হাটতে আসি!" তাদের প্রিয় জায়গা ঢাকা।
আমার অবশ্য সব জায়গাই পছন্দের জায়গা। থাকা ও যাতায়াত দুর্গম হওয়াতে অনেক অসাধারণ জায়গা মানুষের পছন্দের তালিকাতে নেই।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল শত শত নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা পলি মাটি জমে তৈরি হয়েছে। একারনেই দেশের নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলোর আকৃতির পরিবর্তন হয় প্রতিবছরই। একদিকে যেমন মাইলের পর মাইল ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় অন্যদিকে তেমনি নতুন নতুন চর জেগে ওঠে পলি জমে। নদী যেখানে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশে ওই অঞ্চলগুলোতে ভাঙ্গা-গড়ার এই খেলা আরও প্রকট। এবার শুধু মাছ খেতে আবারও যেতে চাই ভোলা জেলার সর্বদক্ষিণের অচেনা কোন চরে, কাটাতে চাই দুটি রাত তাবুতে...
ভ্রমণের টাইপঃ ক্যাম্পিং
গ্রুপ সাইজঃ ২০ জন
এটি ট্রাভেলার্স হুইসেল গ্রুপের একটি নিজস্ব ক্যাম্পিং বাজেটফ্রেন্ডলি ইভেন্ট। আমাদের অন্যান্য ইভেন্ট সম্পর্কে জানতে বা আমাদের সম্পর্কে জানতে আমাদের পেজ ও গ্রুপে এড হয়ে থাকতে পারেন।
আমাদের গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/768808669858355
আমাদের গ্রুপের অন্যান্য ইভেন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ফেসবুকে গ্রুপে এড হয়ে থাকতে পারেন।
আমাদের পেজঃ https://www.facebook.com/Sajib072
ইভেন্টটি শেয়ার করে আপনার ফেসবুক বন্ধুদের ক্যম্পিং এ অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন এবং পাশাপাশি INVITE করে নির্দিষ্ট কাওকে জানাতে পারবেন।
ভ্রমন খরচঃ
জনপ্রতিঃ ৩৭০০/- ( বয়স ৪-৮ বছর )
জনপ্রতিঃ ৬৭০০/- ( প্রাপ্তবয়ষ্ক )
জনপ্রতিঃ ৭৯০০/- (ক্যাবিন সহ)
নিবন্ধন করার নিয়মাবলীঃ
================
যেতে আগ্রহী অবশ্যই ৩০০০/- জমা দিয়ে আপনার আসন নিশ্চিত করবেন।
ব্যাংকঃ
অ্যাকাউন্টের নাম- মোঃ সাইফুর রহমান সজীব
অ্যাকাউন্ট নম্বর 116 151 0020195
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
গুলশান ব্রাঞ্চ।
পার্সোনাল বিকাশঃ
01711978072
দয়াকরে বিকাশে টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই উপোরোক্ত বিকাশ নাম্বারে আপনার নামঃ ঠিকানাঃ কন্টাক্ট নাম্বার সহ একটা এস এম এস করবেন। এবং বুকিং মানি অফেরতযোগ্য
ভ্রমন বিস্তারিতঃ
যাত্রা - ফেব্রুয়ারী ১২ তারিখ ২০২৫।
সন্ধ্যা ০৬ টায় সদরঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রা শুরু।
(বৃহস্পতিবার খুব ভীর থাকে সদরঘাটের রাস্তাঘাটগুলো, তাই দুপুরের পরপরই রওনা দিবেন প্লিজ)
(১ম দিন) – সকালে লঞ্চ ঘাটে পৌঁছে সকালের নাস্তা শেষে ০৩ দিনের জন্য বাজার করে ১১টার মধ্যে নির্ধারিত দ্বীপে রওনা। সেখান থেকে ট্রলারে ক্যম্প সাইটে যাবো। রাতভর আড্ডা ও গান। ক্যাম্প ফায়ার, ফানুস,ইকো লাইটিং ইত্যাদি।
(২য় দিন) – যদি সেটা ভালো লাগে তাহলে সেখানে ২য় রাত থাকবো অথবা আরেকটি দ্বীপে ক্যাম্প করবো। চাইলে ২য় দিন নিজেরা একটা রান্না করবো ।
(৩য় দিন) - সকালে উঠে নাস্তা করে ক্যাম্প সাইট গুছিয়ে আশেপাশে পরিষ্কার করে ফেরার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করব বিকেলে ঢাকাগামী লঞ্চে ধরবো।
(৪র্থ দিন) সোমবার সকাল ০৭/০৮ টায় সদরঘাট পৌঁছে যার যার গন্তব্যে যাবো।
এক্টিভিটিসঃ
হুইল ছিপে মাছ ধরা
জাল দিয়ে মাছ ধরা
ফুটবল খেলা
চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
মন খুলে আড্ডা গান আর খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ট্রলারে সমুদ্র উপকূলে বেড়ানো
দ্বীপটি ঘুরে দেখা
তাবুতে থাকা
চরাঞ্চলের গাছপালা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
হ্যামকে দোল খাওয়া
জলকেলি
ক্যাম্প প্রদীপ জ্বালানো
সামুদ্রিক মাছ খাওয়া
হাঁস বা মুরগী, মাছ না পাওয়া সাপেক্ষে
ক্যাবিনে খাবারের সাথে পানি
ক্যাম্প সাইটে চা বিস্কিটের ব্যাবস্থা সহ বিকেলের নাস্তা
যা থাকবেঃ
১২ তারিখ রাত থেকে ১৫ তারিখ রাত পর্যন্ত সকল বেলার খাবার। (কনো খাবার কিনে খাওয়া লাগবে না)
ঢাকা থেকে চরফ্যাশন/ঘোষের হাট/ ভোলা থেকে ঢাকা লঞ্চের ডেকে যাতায়াত সহ সকল প্রকার যাতায়াত।
৩ দিনের জন্যে রিজার্ভ ট্রলার ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেল পানি (তাই বলে হাত ধোয়ার কাজে কেও ব্যাবহার করলে ৫০০ টাকা জরিমানা। যেখানে যাচ্ছি সেখানে পানি কিনে তো দূর কোনো রকম খাওয়ার পানি পাবো না। )
বাবুর্চি
যা থাকবে নাঃ
তাবু ও আনুসাঙ্গিক জিনিস
ব্যাক্তিগত ঔষধ
লঞ্চে যাতায়াতের সময় ক্যাবিনে গরম পানি/চা/কফি
বিঃদ্রঃ
আমরা যে অঞ্চলে যাচ্ছি সেখানকার জীবনযাত্রা জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভরশীল, তাই উল্লেখিত সময়সূচী যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
আমরা যেহেতু লোকালয় ছেড়ে অনেক দুরে থাকব তাই প্রথম দিনের বাজার দিয়েই সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করব লোকাল জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনতে। অনেক সময় জেলেদের কাছে মাছ পাওয়া যায় না। অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ।
যেহেতু চরে ক্যাম্পিং করব সেহেতেু দৈনন্দিন প্রাকৃতিক কর্মকান্ড প্রকৃতির মাঝেই সম্পাদন করতে হবে। তবে আমরা টেম্পোরারি টয়লেট বানাবো।
এই আয়োজনে সবাই ব্যস্ত থাকবে স্ব স্ব দাইত্বে তাই কেও নৌকা নিয়ে কোথাও যাবার জন্যে বা গরু, মহিষ বা ভেড়া কেনার বায়না ধরবেন না। মানে আপনি নিজে কিনেই সব করে ফেলবেন সেটাও করা নিষেধ।
এই ভ্রমণে তাবু থাকা জরুরী তবে কেও কিনতে না চাইলে ভাড়া করে নিতে পারেন। যারা সেটাও চান না আগে থেকে যোগাযোগ করবেন বড় একটা গ্রুপ তাবু নেয়ার পরিকল্পনা আছে এবার।
যা যা সাথে নিতে হবেঃ
i. তাঁবু*** এবং তাবুর ভেতরে বিছানোর ম্যাট
ii. স্লিপিং ব্যাগ
iii. চাদর***
iv. ব্রাশ পেস্ট
v. নিজ নিজ পানির বোতল
vi. টয়লেট ট্যিসু (মিনিমাম ১টি)
vii. গামছা ***
viii. ক্যাপ বা হ্যাট ***
ix. সানগ্লাস ***
x. টর্চ ***
xi. ক্যমেরা এবং এর এক্সট্রা ব্যাটারি
xii. পাওয়ার ব্যাংক***
xiii. ব্যক্তিগত ঔষধ
xiv. বাতাস বালিস**
xv. পরিমাণ মতো গরম কাপড়
xvi. অডোমস***
xvii. এন আই ডি / স্টূডেন্ট আইডি(ফটোকপি)
xviii. ৩ গজ পলিথিন (পাশে ৪-৫ ফুট) যেকোণো হার্ডোয়ারের দোকানে পাওয়া যায়। না পেলে জানাবেন।***
এক্টিভিটিসঃ
হুইল ছিপে মাছ ধরা
জাল দিয়ে মাছ ধরা
ফুটবল খেলা
চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
মন খুলে আড্ডা গান আর খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ট্রলারে সমুদ্র উপকূলে বেড়ানো
লাল কাঁকড়ার দ্বীপটি ঘুরে দেখা
তাবুতে থাকা
গাছপালা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
হ্যামকে দোল খাওয়া
অতিথি পাখি দেখা
ক্যাম্প প্রদীপ জ্বালানো
সামুদ্রিক মাছ / হাঁস বা মুরগী খাওয়া
** গুরুত্বপূর্ণ -
# সব থেকে জরূরী, ট্রিপ ডিটেইলস টা মনোযোগ দিয়ে পড়া।
# প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এক্সিডেন্টাল কোনো ইস্যুতে খরচ বেড়ে গেলে সেই বর্ধিত খরচ আমরা সবাই মিলেই বহন করবো। কারন প্রাকৃতিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না।
# প্ল্যানের মধ্যে নতুন কোনো প্ল্যানের আবদার না করার বিশেষ অনুরোধ।
# অপ্রয়োজনীয় সাহস দেখানো যাবেন না।
# কারও তাবু লাগলে জানাবেন কিনে বা ভাড়া করে দেয়া যাবে।
# লঞ্চে যাওয়া আসার রাত এবং ঘাটে উঠানামা ছাড়া খরচ করার কোনো জায়গা নেই। আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবশ্যই ঢাকা থেকে নিয়ে রওনা দিবেন। কেনাকাটা করার মতো জায়গা পাবোনা বললেই চলে।
# ক্যাম্পিং এ তাবু পিচ করতে পরষ্পরকে, রান্নার কাটাকুটি, ক্যাম্প গ্রাউন্ডে নিজের পানি নিজেই বহন সহ প্রয়োজনীয় কাজে যথাসম্ভব হেল্প করার মানসিকতা থাকা খুব প্রয়োজন।
# কারও তাবু লাগলে জানাবেন ভাড়া বা কিনে করে দেয়া যাবে।
# নিশ্চিত যারা যাবো তাদের একটি গ্রুপ চ্যাটবক্স করে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
যেকোনো প্রয়োজনেঃ
সজীব - ০১৭১১৯৭৮০৭২
দেশের দক্ষিনাঞ্চলের লোকালয় বিহীন চরে গত ১১ বছরে যে কয়বার গিয়েছি, আমাদের সফর সঙ্গী ও আমার তোলা সবগুলো ছবি দেখে আমার মনে হয়েছে, জায়গাগুলো এতটা সৌন্দর্যমন্ডিত অথচ তার ছিটেফোঁটা আমাদের ছবিগুলোতে নেই। সত্যি বলতে দ্বীপচরের সৌন্দর্য নিজ চোখে উপভোগ করা গেলেও ছবি দেখে তা উপলব্ধি করা মুশকিল।
বঙ্গোপসাগরের বুকে ছবির মত সুন্দর এক দ্বীপচর। নির্জন সাদা বালীর বীচ, ঝিনুকে ছাওয়া লাল কাঁকড়ার সৈকত, সাগর লতার ফুল ফোটা ঝাড়, ম্যানগ্রোভ জোয়ারের সময় নির্জনতা ভাঙ্গা সাগরের গর্জন, রাতের পরিষ্কার আকাশে লক্ষ তারার মেলা, রাতের আকাশে উল্কাপাত, সবুজ বনের ভেতরে হেটে ঘুরার পথ। লম্বা লম্বা ঝাও গাছের সারি ঐশ্বরিক এক জায়গা।
সত্যিকারের নেটওয়ার্ক এর বাইরে বাংলাদেশের যে কয়েকটি যায়গা বাকি রয়েছে এই ঢালচর, মাঝের চর, শেষের চর, সোনার চর, চর পাতিলা, শিপচর, কলাগাছিয়া, তারুয়ার চর এইসব অন্যতম। কেবল এই একটি ট্যুর বছরের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয় আমার।
Advertisement
Event Venue & Nearby Stays
সোনারচর - চর হেয়ার ইকো ট্যুরিজম, Barisal, Bangladesh