Advertisement
ব্যস্ততার ভিড়ে একটু ফুরসত পেলেই সবার ইচ্ছে করে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। যদি এক দিনে পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে কোথাও ঘুরে আসা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। সেদিক থেকে এবারে বেছে নিয়েছি টাঙ্গাইল জেলাকে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে টাঙ্গাইল বেশ জনপ্রিয় এক স্থান। ঢাকা থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় ছুটির দিনসহ বিভিন্ন সময়ে পর্যটকরা দিনে দিনে ঘুরে ফিরতে পারে এই জেলা থেকে। গ্রামের মনোরম পরিবেশ, গভীর বন, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের জন্য খ্যাতি রয়েছে টাঙ্গাইল জেলার।যাচ্ছি প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাসাইল উপজেলার অন্যতম একটি সুন্দর স্থান বাসুলিয়া বা চাপড়া বিল। রাস্তার দু’ধারে দিগন্তের নীচে শুধু পানি আর পানি। এখানেই রয়েছে বিশাল একটি বিল চাপড়া বিল। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মনোমুগ্ধকর বাসুলিয়ার চাপড়া বিল। দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়ে দেয় এখানকার সৌন্দর্যের রানি ‘হিজল গাছ’। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলের মিতালি। এ যেন প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দরের সমাবেশ। চারদিকে থই থই পানি, বিলের মাঝখানে হিজল গাছ আর নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর অ্যাডভেঞ্চার সবার কাছেই উপভোগ্য।
বর্ষায় টুইটুম্বুর বিলে পরিষ্কার পানি আর পানিতে ভেসে থাকে আকাশের মুখচ্ছবি। অপূর্ব শান্তিময় সবুজের মাঝে নীল বিলে নৌকায় ভেসে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে আপরুপ সৌন্দর্যের হাতছানি দিয়ে ডাকে ভ্রমণ পিপাসুদের। প্রাকৃতির সেই অপরুপ সৌন্দর্যে সাড়া দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভীড় জমাচ্ছেন এই বাসুলিয়ায়। তারপর নৌকা করে সারাদিন মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ান বিশাল এই বিলে।
এখানে পর্যটকদের বেড়ানোর জন্য বিভিন্ন রঙে সাজানো প্রায় শতাধিক নৌকা ঘাটে বাঁধা থাকে। বড় বড় নৌকাতে রয়েছে স্যালো ইঞ্জিন। বর্ষায় কয়েক কিলোমিটার বিস্তৃত বিশাল জলরাশি ও গ্রাম বাংলার অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
বাসুলিয়ার ঘাটে নানান আকৃতির নৌকা পাওয়া যায়। ছোট নৌকাগুলোতে অনায়াসে ৫/৭ জন ওঠা যায়। ভাড়া নেয় ঘন্টা প্রতি ২০০ টাকা। বিশেষ করে যারা খোলা আকাশ, মুক্ত বাতাস আর স্বচ্ছ পানিতে মুগ্ধ হন তাদের জন্য এটা একটা অসাধারণ জায়গা। গ্রুপ করে আসলে অনেক কম খরচে খুব সুন্দর একটা বিকেল কাটানো সম্ভব এখানে।
এই বিলে রয়েছে একটি হিজল গাছ। যাবার সময় হাতের ডান দিকে পড়ে বিলের মাঝখানের বিশাল হিজল গাছটি। জনশ্রুতিও আছে, গাছটির জন্ম এখানে নয়। সেই প্রাচীন যুগে গাছটি এসেছিল ‘আসাম রাজ্য’ থেকে। একদিন জমির মালিক করাত চালায় এই হিজল গাছে। একটু পর দেখতে পায় রক্ত ঝরছে গাছের কাটা জায়গা থেকে। এরপর যারাই গাছটি কাটতে গিয়েছে, তারা রক্ত বমি করতে করতে মারা গিয়েছে।
বাসাইল বাজারে গিয়ে সিএনজি থেকে নেমে ভ্যানে করে বাসুলিয়া বিলের পাড়। ভাড়া প্রতিজন ২০ টাকা করে। দিনে যেয়ে দিনেই ফিরে আসতে পারবেন বাসুলিয়া থেকে। তবে বিলের সবচেয়ে সুন্দর রূপটা দেখতে হলে বিকেল পর্যন্ত থাকতেই হবে।
ভ্রমণ সূচীঃ-
যাত্রা - ১৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।
সকাল ৬:০০ টায় ট্রেন বা বাস যাত্রা শুরু, এয়ারপোর্ট ষ্টেশন ৬:২৫টায়
সকাল ৯:৩০ টায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশের সবচাইতে পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাদাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ও মুক্তি সংগ্রামে অভাবনীয় দৃষ্টান্তের ইতিহাস সমৃদ্ধ ) ক্যাম্পাসে সকালের নাস্তা
১.খিচুড়ি / রুটি
২.হাঁসের গোস্তো
৩.সবজি
৪.ডিম
নাস্তা শেষে ঐতিহাসিক করটিয়া জমিদার বাড়ি ঘুড়ে অতীত ঐতিহ্য হাতড়ানো শেষে...
বেলা ১২:০০ টায় বাসুলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা
পৌছানোর পর ডিঙি নৌকা / মটর বোর্টে বাসুলিয়া বিলের সৌন্দর্য উপভোগ / বর্ষার পানিতে গোসল শেষে
দুপুরের খাবার
১.সাদা ভাত
২. ভর্তা ( ১-২ ) ধরনের
৩.বংশাই নদী বা বাসুলিয়া বিলের টাটকা বড় ছোট মাছ
৪.ডাল
৫. চরের যে কোন ফ্রেশ সিজনাল শাক
৬. সবজি
৭. টাংগাইলের বিখ্যাত চমচম
তারপর অলস বিকাল পূবালী বাতাসে ঘন্টা ৫:৩০ পর্যন্ত কাটানোর পর
সন্ধ্যা ৬:০০ সময় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা..
রাত ৯ টায় ঢাকায় পৌঁছানো
একোস্টিক গিটারে গান সাথে ফিশিং রড থাকবে যদি কেউ মাছ ধরতে চায়
# যাওয়া আসা বাস / ট্রেন মিলিয়ে
জনপ্রতি ১৯৯৯/-
শিশু ২-৩ (বাবা মায়ের সাথে বসবে খাবে ঘুমাবে) কোনো খরচ নেই।
যা যা থাকছে নাঃ
ট্রেন বা হাইওয়েতে কোনো খাবার
জাদুঘরের এন্ট্রি ফি
উল্মেলেখিত মেনুর বাইরের খাবার
বার বি কিউ
মেডিসিন
ব্যাক্তিগত খরচ
খাবার বাইরে অতিরিক্ত চা/ কফি/ স্নাকস / পানি
## নিশ্চিত যেতে চান যারা
জনপ্রতি ১০০০ টাকা অগ্রিম সহ আসন নিশ্চিত করবেন
(বিকাশে চার্জ সহ দিতে হবে)
* টাকা পাঠাতে পারবেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও
রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি
==========
কনফার্মেশনের জন্য অগ্রীম ১০০০/- টাকা প্রদান করতে হবে।
টাকা পাঠানোর পর টেক্সট করবেন।
01711978072 পারসোনাল বিকাস
**#** সকল অবস্থায় Traveler’s Whistle 'র সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
নোটঃ
১.কিছু জানতে বা জানাতে কমেন্ট করুন, কোনো প্রশ্ন বা কনফিউশন থাকলে কমেন্ট করে রাখাই উত্তম, আমাদের প্রশ্নোত্তর বাকিদের কাজে দিতে পারে।
২. একশ কথার এক কথা সাথে করে নিয়ে যাওয়া চিপস বা স্যালাইন চকোলেট বিস্কিটের প্যাকেট নিজের পকেটে বা ব্যাগে ভরে রাখবেন, পরে নিদিৃষ্ট স্থানে ফেলে দেয়ার জন্য।
৩. নিশ্চিত যারা যাবো তাদের একটি গ্রুপ চ্যাটবক্স করে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
❑ ❑ ** গুরুত্বপূর্ণ **
# সব থেকে জরূরী, ট্রিপ ডিটেইলস টা মনোযোগ দিয়ে পড়া।
# প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এক্সিডেন্টাল কোনো ইস্যুতে খরচ বেড়ে গেলে সেই বর্ধিত খরচ আমরা সবাই মিলেই বহন করবো। কারন প্রাকৃতিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না এবং এর উপর আমাদের কারো কোনো হাত নেই।
# প্ল্যানের মধ্যে নতুন কোনো প্ল্যানের আবদার না করার বিশেষ অনুরোধ।
# অপ্রয়োজনীয় সাহস দেখানো যাবেন না।
# আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবশ্যই ঢাকা থেকে নিয়ে রওনা দিবেন। কেনাকাটা করার মতো জায়গা পাবোনা বললেই চলে।
# প্রয়োজনীয় কাজে যথাসম্ভব হেল্প করা মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।
# শেষ মুহুর্তে সফর বাতিল করলে বুকিং মানি ফেরত দেয়া হবে না।
❑ ❑ সতর্কতাঃ
# নিদিষ্ট স্থান ছাড়া প্লাস্টিক, বোতল বা ময়লা আবর্জনা ফেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
প্রয়োজনেঃ
সজীব
০১৭১১৯৭৮০৭২
ট্রাভেলার্স হুইসেল
Advertisement
Event Venue & Nearby Stays
বাসুলিয়া-চাপড়া বিল, বাসাইল,টাঙ্গাইল, Mymensingh, Bangladesh